Posts

কুহেলিকা কবিতা - কাজী নজরুল ইসলাম | কবিতার জগৎ

 তোমরা আমায় দেখ্‌তে কি পাও আমার গানের নদী-পারে?    নিত্য কথায় কুহেলিকায় আড়াল করি আপনারে।    সবাই যখন মত্ত হেথায় পান ক’রে মোর সুরের সুরা    সব-চেয়ে মোর আপন যে জন স-ই কাঁদে গো তৃষ্ণাতুরা।    আমার বাদল-মেঘের জলে ভর্‌ল নদী সপ্ত পাথার,    ফটিক-জলের কণ্ঠে কাঁদে তৃপ্তি-হারা সেই হাহাকার!    হায় রে, চাঁদের জ্যোৎস্না-ধারায় তন্দ্রাহারা বিশ্ব-নিখিল,    কলঙ্ক তার নেয় না গো কেউ, রইল জু’ড়ে চাঁদেরি দিল! 

গানের আড়াল কবিতা - কাজী নজরুল ইসলাম | kobitar jagot

 তোমার কন্ঠে রাখিয়া এসেছি মোর কন্ঠের গান --    এইটুকু শুধু রবে পরিচয় ? আর সব অবসান ?    অন্তরতলে অন্তরতর যে ব্যথা লুকায়ে রয়,    গানের আড়ালে পাও নাই তার কোনদিন পরিচয় ?        হয়তো কেবলি গাহিয়াছি গান, হয়ত কহিনি কথা,    গানের বানী সে শুধু কি বিলাস, মিছে তার আকুলতা ?    হৃদয়ে কখন জাগিল জোয়ার, তাহারি প্রতিধ্বনি    কন্ঠের তটে উঠেছে আমার অহরহ রণরণি' --    উপকূলে ব'সে শুনেছ সে সুর, বোঝ নাই তার মানে ?    বেঁধেনি হৃদয়ে সে সুর, দুলেছে দু'ল হয়ে শুধু কানে ?        হায় ভেবে নাহি পাই --    যে - চাঁদ জাগালো সাগরে জোয়ার, সেই চাঁদই শোনে নাই ।    সাগরের সেই ফুলে ফুলে কাদা কূলে কূলে নিশিদিন ?    সুরেরে আড়ালে মূর্চ্ছনা কাঁদে, শোনে নাই তাহা বীণ ?    আমার গানের মালার সুবাস ছুঁল না হৃদয়ে আসি' ?    আমার বুকের বাণী হল শুধু তব কন্ঠের ফাঁসি?        বন্ধু গো যেয়ো ভুলে --    প্রভাতে...

তোমারে পড়িছে মনে কবিতা - কাজী নজরুল ইসলাম | কবিতার জগৎ

 তোমারে পড়িছে মনে    আজি নীপ-বালিকার ভীরু-শিহরণে,    যুথিকার অশ্রুসিক্ত ছলছল মুখে    কেতকী-বধূর অবগুন্ঠিত ও বুকে-    তোমারে পড়িছে মনে।    হয়তো তেমনি আজি দূর বাতায়নে    ঝিলিমিলি-তলে    ম্লান লুলিত অঞ্ছলে    চাহিয়া বসিয়া আছ একা,    বারে বারে মুছে যায় আঁখি-জল-লেখা।    বারে বারে নিভে যায় শিয়রেরে বাতি,    তুমি জাগ, জাগে সাথে বরষার রাতি।        সিক্ত-পক্ষ পাখী    তোমার চাঁপার ডালে বসিয়া একাকী    হয়ত তেমনি করি, ডাকিছ সাথীরে,    তুমি চাহি' আছ শুধু দূর শৈল-শিরে ।।    তোমার আঁখির ঘন নীলাঞ্জন ছায়া    গগনে গগনে আজ ধরিয়াছে কায়া । ...        আজি হেথা রচি' নব নীপ-মালা--    স্মরণ পারের প্রিয়া, একান্তে নিরালা    অকারণে !-জানি আমি জানি    তোমারে পাব না আমি। এই গান এই মালাখানি    রহিবে তাদেরি কন্ঠে- যাহাদেরে কভু    চাহি নাই, কুসুম...

পথচারী কবিতা - কাজী নজরুল ইসলাম | kobitar jagot

 কে জানে কোথায় চলিয়াছি ভাই মুসাফির পথচারি,    দু'ধারে দু'কুল দুঃখ-সুখের-মাঝে আমি স্রোত-বারি!    আপনার বেগে আপনি ছুটেছি জন্ম-শিখর হ'তে    বিরাম-বিহীন রাত্রি ও দিন পথ হ'তে আন পথে!    নিজ বাস হ'ল চির-পরবাস, জন্মের ক্ষন পরে    বাহিরিনি পথে গিরি-পর্বতে-ফিরি নাই আর ঘরে।    পলাতকা শিশু জন্মিয়াছিনু গিরি-কন্যার কোলে,    বুকে না ধরিতে চকিতে ত্বরিতে আসিলাম ছুটে চ'লে।        জননীরে ভুলি' যে-পথে পলায় মৃগ-শিশু বাঁশী শুনি',    যে পথে পলায় শশকেরা শুনি' ঝরনার ঝুনঝুনি,    পাখী উড়ে যায় ফেলিয়া কুলায় সীমাহীন নভোপানে,    সাগর ছাড়িয়া মেঘের শিশুরা পলায় আকাশ-যানে,-    সেই পথ ধরি' পলাইনু আমি! সেই হ'তে ছুটে চলি    গিরি দরী মাঠ পল্লীর বাট সজা বাঁকা শত গলি।        -কোন গ্রহ হ'তে ছিঁড়ি    উল্কার মত ছুতেছি বাহিয়া সৌর-লোকের সিঁড়ি!    আমি ছুটে যাই জানিনা কোথায়, ওরা মোর দুই তীরে    রচে নীড়, ভাবে উহাদের...

বর্ষা-বিদায় কবিতা - কাজী নজরুল ইসলাম | কবিতার জগৎ

 ওগো বাদলের পরী!    যাবে কোন্ দূরে ঘাটে বাঁধা তব কেতকী পাতার তরী!    ওগো ও ক্ষণিকায়, পুব-অভিসার ফুরাল কি আজ তব?    পহিল ভাদরে পড়িয়াছে মনে কোন্ দেশ অভিনব?        তোমার কপোল-পরশ না পেয়ে পাণ্ডুর কেয়া-রেণু/    তোমারে স্মরিয়া ভাদরের ভরা নদীতটে কাঁদে বেনু।        কুমারী ভীরু-বেদনা-বিধূর প্রণয়-অশ্র“ সম।    ঝরিছে শিশির-সিক্ত সেফালী নিশি-ভোরে অনুপম।        ওগো ও কাজল মেয়ে,    উদাস আকাশ ছলছল চোখ তব মুখে আছে চেয়ে।    কাশফুল সম শুভ্র ধবল রাশ রাশ শ্বেত মেঘে    তোমার তরীর উড়িতেছে পাল উদাস বাতাস লেগে।        ওগো জলের দেশের কন্যা। তব ও বিদায় পথে    কাননে কাননে কদম-কেশর ঝরিছে প্রভাত হ’তে।    তোমার আদরে মুকুলিতা হয়ে ঊঠিল যে বল্লরী    তরুর কণ্ঠ জড়াইয়া তারা কাঁদে নিশিদিন ভরি।’       ‘বৌ-কথা-কও’ পাখি    উড়ে গেছে কোথা, বাতায়নে বৃথা বউ করে ডাকাডাকি।    চাঁপার...

বাতায়ন-পাশে গুবাক-তরুর সারি কবিতা - কাজী নজরুল ইসলাম | কবিতার জগৎ

 বিদায়, হে মোর বাতায়ন-পাশে নিশীথ জাগার সাথী !    ওগো বন্ধুরা, পান্ডুর হ’য়ে এল বিদায়ের রাতি !    আজ হ’তে হ’ল বন্ধ আমার জানালার ঝিলিমিলি,    আজ হ’তে হ’ল বন্ধ মোদের আলাপন নিরিবিলি --        অস্ত-আকাশ-অলিন্দে তার শীর্ণ-কপোল রাখি’    কাঁদিতেছে চাঁদ, “মুসাফির জাগো, নিশি আর নাই বাকী |    নিশীথিনী যার দূর বন-ছায় তন্দ্রায় ঢুলু ঢুল্ ,    ফিরে ফিরে চায়, দু’-হাতে জড়ায় আঁধারের এলোচুল !”        চমকিয়া জাগি, ললাটে আমার কাহার নিশাস লাগে ?    কে করে ব্যজন তপ্ত ললাটে, কে মোর শিয়রে জাগে ?    জেগে দেখি, মোর বাতায়ন-পাশে জাগিছে স্বপনচারী    নিশীথ রাতের বন্ধু আমার গুবাক-তরুর সারি !        তোমাদের আর আমার আঁখির পল্লব-কম্পনে    সারা রাত মোরা ক’য়েছি যে কথা, বন্ধু পড়িছে মনে !    জাগিয়া একাকী জ্বালা ক’রে আঁখি আসিত যখন জল,    তোমাদের পাতা মনে হ’তে যেন সুশীতল করতল !        আমার প্রিয়ার !-- তোম...

গোকুল নাগ কবিতা - কাজী নজরুল ইসলাম | কবিতার জগৎ

 না ফুরাতে শরতের বিদায়-শেফালি,    না নিবিতে আশ্বিনের কমল-দীপালি,    তুমি শুনেছিলে বন্ধু পাতা-ঝরা গান    ফুলে ফুলে হেমনে-র বিদায়-আহবান!    অতন্দ্র নয়নে তব লেগেছিল চুম    ঝর-ঝর কামিনীর, এল চোখে ঘুম    রাত্রিময়ী রহস্যের; ছিন্ন শতদল    হ’ল তব পথ-সাথী; হিমানী-সজল    ছায়াপথ-বিথী দিয়া শেফালি দলিয়া    এল তব মায়া বধূ ব্যথা-জাগানিয়া!    এল অশ্রু হেমনে-র,এল ফুল-খসা    শিশির-তিমির-রাত্রি; শ্রান- দীর্ঘশ্বাসা    ঝাউ-শাখে সিক্ত বায়ু ছায়া-কুহেলির    অশ্রু-ঘন মায়া-আঁখি, বিরহ-অথির    বুকে তব ব্যথা-কীট পশিল সেদিন!    যে-কান্না এল না চোখে, মর্মে হ’ল লীন,    বক্ষে তাহা নিল বাসা, হ’ল রক্তে রাঙা    আশাহীন ভালবাসা, ভাষা অশ্রু-ভাঙা!    বন্ধু,  তব জীবনের কুমারী আশ্বিন    পরিল বিধবা বেশ করে কোন্‌ দিন,    কোন্‌ দিন সেঁউতির মালা হ’তে তার    ঝ’রে গেল বৃন-গুলি রাঙা কামনার-    জানি নাই; জানি ...

ফরিয়াদ কবিতা - কাজী নজরুল ইসলাম | কবিতার জগৎ

 এই ধরণীর ধূলি-মাখা তব অসহায় সন্তান    মাগে প্রতিকার, উত্তর দাও, আদি-পিতা ভগবান!-    আমার আঁখির দুখ-দীপ নিয়া    বেড়াই তোমার সৃষ্টি ব্যাপিয়া,    যতটুকু হেরি বিস্ময়ে মরি, ভ’রে ওঠে সারা প্রাণ!    এত ভালো তুমি? এত ভালোবাসা? এত তুমি মহীয়ান্?    ভগবান! ভগবান!        তোমার সৃষ্টি কত সুন্দর, কত সে মহৎ, পিতা!    সৃষ্টি-শিয়রে ব’সে কাঁদ তবু জননীর মতো ভীতা!    নাহি সোয়াসি-, নাহি যেন সুখ,    ভেঙে গড়ো, গড়ে ভাঙো, উৎসুক!    আকাশ মুড়েছ মরকতে-পাছে আঁখি হয় রোদে ম্লান।    তোমার পবন করিছে বীজন জুড়াতে দগ্ধ প্রাণ!    ভগবান! ভগবান!        রবি শশী তারা প্রভাত-সন্ধ্যা তোমার আদেশ কহে-   ‘এই দিবা রাতি আকাশ বাতাস নহে একা কারো নহে।    এই ধরণীর যাহা সম্বল,-    বাসে-ভরা ফুল, রসে-ভরা ফল,    সু-স্নিগ্ধ মাটি, সুধাসম জল, পাখীর কন্ঠে গান,-    সকলের এতে সম অধিকার, এই তাঁর ফরমান!’    ভগবান! ভগবান! ...

আশু-প্রয়াণ গীতি - কাজী নজরুল ইসলাম | কবিতার জগৎ

 কোরাস্: বাংলার 'শের', বাংলার শির,    বাংলার বাণী, বাংলার বীর    সহসা ও-পারে অস্তমান।    এপারে দাঁড়ায়ে দেখিল ভারত মহা-ভারতের মহাপ্রয়াণ॥        বাংলার ঋষি বাংলার জ্ঞান বঙ্গবাণীর শ্বেতকমল,    শ্যাম বাংলার বিদ্যা-গঙ্গা অবিদ্যা-নাশী তীর্থ-জল!    মহামহিমার বিরাট পুরুষ শক্তি-ইন্দ্র তেজ-তপন—    রক্ত-উদয় হেরিতে সহসা হেরিনু সে-রবি মেঘ-মগন।        কোরাস্: বাংলার 'শের', বাংলার শির,    বাংলার বাণী, বাংলার বীর    সহসা ও-পারে অস্তমান।    এপারে দাঁড়ায়ে দেখিল ভারত মহা-ভারতের মহাপ্রয়াণ॥        মদ-গর্বীর গর্ব-খর্ব বল-দর্পীর দর্প-নাশ    শ্বেত-ভিতুদের শ্যাম বরাভয় রক্তাসুরের কৃষ্ণ ত্রাস।    নব ভারতের নব আশা-রবি প্রাচী'র উদার অভ্যুদয়    হেরিতে হেরিতে হেরিনু সহসা বিদায়-গোধূলি গগনময়।        কোরাস্: বাংলার 'শের', বাংলার শির,    বাংলার বাণী, বাংলার বীর    সহসা ও-পারে অস্ত...

দুঃশাসনের রক্ত-পান কবিতা - কাজী নজরুল ইসলাম | কবিতার জগৎ

 বল রে বন্য হিংস্র বীর,    দুঃশাসনের চাই রুধির।    চাই রুধির রক্ত চাই,    ঘোষো দিকে দিকে এই কথাই    দুঃশাসনের রক্ত চাই!    দুঃশাসনের রক্ত চাই!!        অত্যাচারী সে দুঃশাসন    চাই খুন তার চাই শাসন,    হাঁটু গেড়ে তার বুকে বসি    ঘাড় ভেঙে তার খুন শোষি।    আয় ভীম আয় হিংস্র বীর,    কর অ-কণ্ঠ পান রুধির।    ওরে এ যে সেই দুঃশাসন    দিল শত বীরে নির্বাসন,    কচি শিশু বেঁধে বেত্রাঘাত    করেছে রে এই ক্রূর স্যাঙাত।    মা-বোনেদের হরেছে লাজ    দিনের আলোকে এই পিশাচ।    বুক ফেটে চোখে জল আসে,    তারে ক্ষমা করা? ভীরুতা সে!    হিংসাশী মোরা মাংসাশী,    ভণ্ডামি ভালবাসাবাসি!    শত্রুরে পেলে নিকটে ভাই    কাঁচা কলিজাটা চিবিয়ে খাই!    মারি লাথি তার মড়া মুখে,    তাতা-থৈ নাচি ভীম সুখে।        নহি মোরা ভীরু সংসারী,   ...

পূর্ণ-অভিনন্দন কবিতা - কাজী নজরুল ইসলাম || কবিতার জগৎ

 এস অষ্টমী-পূর্ণচন্দ্র! এস পূর্ণিমা-পূর্ণচাঁদ!    ভেদ করি পুন বন্ধ কারার অন্ধকারের পাষাণ-ফাঁদ!    এস অনাগত নব-প্রলয়ের মহা সেনাপতি মহামহিম!    এস অক্ষত মোহান্ধ-ধৃতরাষ্ট্র-মুক্ত লৌহ-ভীম!    স্বাগত ফরিদপুরের ফরিদ, মাদারিপুরের মর্দবীর,    বাংলা-মায়ের বুকের মানিক, মিলন পদ্মা-ভাগীরথীর!        ছয়বার জয় করি কারা-ব্যুহ, রাজ-রাহু-গ্রাস-মুক্ত চাঁদ!    আসিলে চরণে দুলায়ে সাগর নয়-বছরের মুক্ত-বাঁধ!    নবগ্রহ ছিঁড়ি ফণি-মনসার মুকুটে তোমার গাঁথিলে হার,    উদিলে দশম মহাজ্যোতিষ্ক ভেদিয়া গভীর অন্ধকার!    স্বাগত ফরিদপুরের ফরিদ, মাদারিপুরের মর্দবীর,    বাংলা-মায়ের বুকের মানিক, মিলন পদ্মা-ভাগীরথীর!        স্বাগত শুদ্ধ রুদ্ধ-প্রতাপ, প্রবুদ্ধ নব মহাবলী!    দনুজ-দমন দধীচি-অস্থি, বহ্নিগর্ভ দম্ভোলি!    স্বাগত সিংহ-বাহিনী-কুমার! স্বাগত হে দেব-সেনাপতি!    অনাগত রণ-কুরুক্ষেত্রে সারথি-পার্থ-মহারথী!    স্বাগত ফরিদপুরের ...

মোহান্তের মোহ-অন্তের গান - কাজী নজরুল ইসলাম || kobitar jagot

 জাগো আজ দণ্ড-হাতে চণ্ড বঙ্গবাসী।    ডুবাল পাপ-চণ্ডাল তোদের বাংলা দেশের কাশী।    জাগো বঙ্গবাসী॥    তোরা হত্যা দিতিস যাঁর থানে, আজ সেই দেবতাই কেঁদে    ওরে তোদের দ্বারেই হত্যা দিয়ে মাগেন সহায় আপনি আসি।    জাগো বঙ্গবাসী॥    মোহের যার নাইকো অন্ত    পূজারী সেই মোহান্ত,    মা-বোনে সর্বস্বান্ত করছে বেদী-মূলে।    তোদেরে পূজার প্রসাদ বলে খাওয়ায় পাপ-পুঁজ সে গুলে।    তোরা তীর্থে গিয়ে আসিস পাপ-ব্যভিচার রাশি রাশি।    জাগো বঙ্গবাসী॥        এইসব ধর্ম-ঘাগী    দেব্‌তায় করছে দাগী,    মুখে কয় সর্বত্যাগী ভোগ-নরকে বসে।    সে যে পাপের ঘণ্টা বাজায় পাপী দেব-দেউলে পশে।    আর ভক্ত তোরা পূজিস তারেই যোগাস খোরাক সেবা-দাসী!    জাগো বঙ্গবাসী॥        দিয়ে নিজ রক্তবিন্দু    ভরালি পাপের সিন্ধু—    ডুবলি তায় ডুবলি হিন্দু ডুবলি দেব্‌তারে।    দেখো ভোগের বিষ্ঠা পুড়ছে তোদের...